ঘরে বসে আয় করতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা পেপ্যাল এবং মাস্টারকার্ড ছাড়া অন্যকোন উপায়ে পেআউট করেনা। আবার যারা বিদেশ ভ্রমণ করেন তাদের জন্যও একটি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা বিদেশে কেনাকাটা কিংবা লেনদেন করতে গেলে বাংলাদেশি এটিএম কার্ড অচল; সেক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিকল্প আর কিছু নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসকল মাস্টারকার্ড পাওয়া যায় সেগুলো পেতে খুবই জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। ব্যাংকের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে তবেই ব্যাংক থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড পাওয়া যায়৷ ব্যাংকগুলো যে শর্ত দেয় তার মধ্যে আছে- মাসিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করতে হবে এবং ব্যাংকে একান্টের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে৷ এরকম কঠিন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংক থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড নেওয়ার চেয়ে অনলাইনে সহজেই মাস্টারকার্ড পাওয়া যায়৷ অনলাইনে যেসকল কোম্পানি মাস্টারকার্ড প্রধান করে তার মধ্যে আছে পেওনিয়ার, স্ক্রিল কিংবা নেটেলারের মতো প্রতিষ্ঠান।
আমরা আজকে দেখবো- কিভাবে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়। পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আপনি বাংলাদেশ থেকে ঘরে বসেই আবেদন করতে বা রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। কিভাবে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করবেন তার আগে চলুন জেনে নিই- পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড কি এবং এর সুবিধা অসুবিধা।
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড কি?
পেওনিয়ার একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা অনলাইনে পেমেন্ট গ্রহণ বা প্রদানের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ডের সকল সুবিধা দিয়ে থাকে। পেওনিয়ার যে মাস্টারকার্ড প্রদান করে সেটিকেই মূলত পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড বলে। পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পুরো পৃথিবীর যেকোন দেশেই গ্রহণযোগ্য। পৃথিবীতে সহস্রাধিক ব্যাংক এবং অনলাইন প্রতিষ্ঠান আছে যারা মাস্টারকার্ড সুবিধা দিয়ে থাকে। পেওনিয়ারও সেরকম একটি প্রতিষ্ঠান যারা অনলাইনে মাস্টারকার্ড সুবিধা দিয়ে। আবারও বলছি; পেওনিয়ার একটি অনলাইন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতো কোন প্রতিষ্ঠান নয়।পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের অনেকগুলো সুবিধা আছে। পুরো পৃথিবীতে অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেপালের পেমেন্ট সার্ভিস৷ পেপাল সেবার পর দিয়েই জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে পেওনিয়ার সেবা। পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের বিশেষ সুবিধার মধ্যে আছে-- পৃথিবীর যেকোন দেশে গ্রহণযোগ্য।
- বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সেবা।
- ভার্চুয়াল এবং হার্ডকপি এভেইলেবল।
- পৃথিবীর প্রায় সকল কারেন্সি গ্রহণযোগ্য।
- দ্রুত মাস্টারকার্ড সরবারহ।
এছাড়াও নানাবিধ সুবিধা আছে পেওনিয়ারের। পেওনিয়ারের লাইভ সাপোর্ট অন্তত কার্যকরী। পেওনিয়ারের সিকিউরিটি সিস্টেমও নিখুত ফলে আর্থিক লোকসান বা ক্ষতির সম্ভাবনা একদম শুন্যের কোঠায়। পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের এত সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন-
- সরাসরি ব্যাংক থেকে ডিপোজিট করা যায় না।
- কেবলমাত্র আউটসোর্সিং এর জন্য বেশি ব্যাবহৃত হয়।
- বাংলাদেশে পেওনিয়ারের কোন শাখা নেই।
তবে অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই মুখ্য। বাংলাদেশে পেওনিয়ারের কোন শাখা না থাকলেও এটি বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে সমাধান হলো- আপনাকে পেওনিয়ারে ডিপোজিট করতে হলে যেকোন আউটসোর্সিং প্লাটফর্ম থেকে ডিপোজিট করতে হবে।
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে যেসকল ডকুমেন্ট লাগবে
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন বা রেজিষ্ট্রেশন করতে হলে প্রথমেই আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট রেডি করে রাখতে হবে৷ যেহেতু আর্থিক লেনদেনের ব্যাপার সেহেতু আপনার পরিচয় শতভাগ নিশ্চিত না হলে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পাওয়া যাবে না৷ পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পেতে যা যা লাগবে তা হলো-
- ব্যাংকের হিসাব নম্বর: পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য যেকোন একিটি ব্যাংক হিসাব পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের সাথে লিংক করে দিতে হবে৷ এজন্য বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বর আপনার প্রয়োজন হবে৷ সুতরাং পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পেতে চাইলে প্রথমেই বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকে নিজের একটি একাইন্ট খুলুন। পেওনিয়ার একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় একাউন্টের হিসাব নম্বরটি প্রয়োজন পড়বে।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড: আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার কাছে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি চাইবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যদি ভোটার আইডি কার্ড না থাকে তবে আপনি পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। মাস্টারকার্ড প্রদানের পূর্বে তারা আপনার পরিচয় ভেরিফিকেশন করবে সুতরাং ফেক আইডি দিয়ে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন করার সুযোগ নেই।
এছাড়া ই-মেইল আইডি এবং মোবাইল ফোন নাম্বার প্রয়োজন পড়বে। সুতরাং পেওনিয়ার একাউন্টে রেজিষ্ট্রেশন করার পূর্বে অবশ্যই উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো সঙ্গে রাখুন।
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করার ধাপ
আমরা কয়েকটি ধাপে জেনে নিবো, কিভাবে অনলাইনে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হয়৷ ধাপগুলো মনযোগ সহকারে পড়লে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই- কিভাবে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য একাউন্ট খুলতে হয় সেটি শিখে ফেলবেন। পেওনিয়ার একাউন্টে সাইনআপ করা খুবই সহজ!ধাপ ০১: পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পেতে তাদের ওয়েবসাইটে যান
পেওয়নিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটে যেতে হবে৷ ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য গুগলে "Payoneer" লিখে সার্চ করুন অথবা তাদের ওয়েবসাইটের লিংকে "www.payoneer.com" এ সরাসরি যান। কোনটাই না পারলে পেওনিয়ারে একাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর নিচের চিত্রের মতো একটি পেজ দেখতে পাবেন। অবশ্যই লিংক ভালো করে দেখে নিন; যেন ভূল কোন ওয়েবসাইটে না ঢুকে পড়েন।
ধাপ ০২: রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যাত্রা শুরু করুন
পেওনিয়ার এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্রাউজারে উপরের দিকে লক্ষ করলেই দেখবেন সেখানে "REGISTER" নামক একটি অপশন আছে; মোবাইল ব্রাউজারে মাঝখানেই থাকবে উপরের চিত্রের মতো। পেওয়নিয়ারের হোমপেজ থেকে এবার আপনার কাজ হবে সেই "Register" অপশনে ক্লিক করা৷ রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নতুন একটি পেজ আসবে। পেজটির চেহারা হবে নিচের মতো। এখানে "Let’s find the right account for your needs:" এরকম লেখার নিচে দুটি ঘর থাকবে। ঘর দুটি যথাযথভাবে পূর্ব করুন।
ঘর পূরণ করার পর তৃতীয় আরেকটি ঘর আসবে। সেটি পূরণ করুন। পূরণ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন আরেকটি পেজ দেখতে পাবেন যার চেহারা হবে নিচের ফটোর মতো।
এবার উপরের চিত্র অনুযায়ী আসলে সেখান থেকে রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং ব্রাউজারকে পূর্ণ লোড হতে দিন।
ধাপ ০৩: পরপর ৪টি স্টেপ পূরণ করুন
উপরের নিয়ম ফলো করে আসলে এখন আপনি পূরণ করার জন্য ৪টি স্টেপ পাবেন। ৪টি স্টেপ নির্ভুলভাবে পূরণ করুন। এই ৪টি স্টেপের প্রথম অপশনে নাম, ইমেইল এবং জন্ম তারিখ চাইবে। প্রথম স্টেপের চিত্র নিচে দেওয়া হলো।
এবার দ্বিতীয় স্টেপে আপনার ঠিকানা, ফোন নাম্বার ইত্যাদি চেয়ে ফরম পূরণ করতে বলবে৷ দ্বিতীয় স্টেপ দেখতে নিচের চিত্রের মতো হবে।
মনে রাখবেন; ঠিকানা কিংবা ফোন নাম্বার ভূল করা যাবে না। ফোনি নাম্বারও যথাযথ সঠিকটা দিতে হবে। এই সকল তথ্যের উপরই নির্ভর করবে আপনি পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পাবেন কি না।
ধাপ ০৪: ইমেইল ভেরিফিকেশন করুন
চারটি স্টেপ যথাযথ পূরণ করা হয়ে গেলে এবার আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন মেইল আসবে। ইমেইলটি দেখতে নিচের চিত্র মতো দেখাবে৷
এবার মেইলের ভেরিফিকেশন অপশনে ক্লিক করুন। তারপর পুনরায় আরেকটি মেইল আসবে। এবার যে মেইলটি আসবে সেটি রিভিউ এর ইমেইল। আপনি যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো সত্য কিনা সেগুলো যাচাই বাছাই করার পর যদি সত্য এবং গ্রহণযোগ্য হয় তবে ২/৩দিনের মধ্যেই পেওনিয়ার আপনাকে আরেকটি কনফার্মেশন বার্তা পাঠাবে। কনফারমেশন বার্তা পাওয়ার পর আপনি যেকোন সময় একাউন্টে লগইন করতে পারবেন।
ধাপ ০৫: পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করুন
পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করার জন্য আপনার ধাপ ১ অনুসরণ করতে হবে৷ আগের মতো পেওনিয়ার একাউন্টে যাওয়ার পর এবার রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করার পরিবর্তে "Sign In" অপশনে ক্লিক করতে হবে৷ সাইন ইন অপশনে ক্লিক করার পর ইমেইল আইডি আর পাসওয়ার্ড চাইবে৷ টু ফ্যাক্টর সিকিউরিটি সেট করে দিলে এখানে অতিরিক্ত অপশন আসবে৷ টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে ফোন নাম্বারে একটি কোড আসে; সেটি দিয়ে সাইন ইন করতে হয়।
এরপর একাউন্ট ক্রিয়েট সম্পন্ন হলে মাস্টারকার্ড পেতে আরও কিছু কাজ করতে হবে। তবেই আপনি মাস্টারকার্ড পাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবেন।
পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পেতে করণীয়
পেওয়নিয়ার একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে এবার আপনার কাজ হবে আপনার একাউন্টে কিছু ডলার ডিপোজিট করা। আগে কোন ডলার ডিপোজিট করা ছাড়াও পেওনিয়ার বাংলাদেশে মাস্টারকার্ড দিতো কিন্তু অসাধু মানুষের কারণে সেটি বন্ধ করে দিয়েছে পেওনিয়ার কর্তৃপক্ষ। এখন পেওনিয়ারের মাস্টারকার্ড সেবা পেতে হলে কমপক্ষে ১০০ ডলার একাউন্টে ডিপোজিট করতে হবে৷ এই ১০০ ডলার ডিপোজিট করার জন্য আপনি দুটো পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন-
- নিজে ফ্রীলান্সার হলে ফ্রীল্যান্সিং কোন প্লাটফর্ম থেকে আয় করা ১০০ ডলার সরাসরি আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে ডিপোজিট করতে পারেন। আপওয়ার্ক, গুগল এডসেন্স যেখান থেকে খুশি সেখান থেকেই ডিপোজিট করতে পারবেন। ডিপোজিট করা ১০০ ডলার পেওনিয়ার আপনার মাস্টারকার্ডে জমা করে দিবে; এটি মাস্টারকার্ডের চার্জ নয় বরং মিনিমাম ডিপোজিট মানি।
- নিজে ফ্রীলান্সার না হলে; ফ্রীলান্সিং বা আউটসোর্সিং এর কাজ করে এমন কারো কাছে থেকে ডিপোজিট করে নিন। আপনার পরিচিত কাউকে একাউন্টের দিয়ে সেখানে ১০০ ডলার ডিপোজিট করতে বলুন। আপনি ১০০ ডলারে যত টাকা হয় তত টাকা তাকে দিন।
পেওনিয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ডে আপনি সরাসরি ব্যাংক থেকে টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন না৷ এক্ষেত্রে টাকা ডিপোজিট করার জন্য হয় আপনার ফ্রীলান্সিং করা ডলার ডিপোজিট করতে হবে নয়তো যে ফ্রীলান্স করে তার কাছে থেকে ডিপোজিট করে নিতে হবে।
১০০ ডলার ডিপোজিট করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন করার সুযোগ দিবে৷ আপনি মাস্টারকার্ডের জন্য যথাযথ আবেদন করুন। মাস্টারকার্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের আমাদের ওয়েবসাইটেই সেকুয়েল টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইট ঘেটে দেখুন- পেয়ে যাবেন।
2 মন্তব্যসমূহ
পেওনিয়ার একাঊন্ট খোলার পর ১০০ ডলার ডিপোজিট করতে হবে, এটা বুজলাম তবে ওই ১০০ ডলার কি আর কোনো দিন ফেরত পাবো না??
উত্তরমুছুনএকাউন্ট খোলার পর 100 ডলার যদি মাস খানেক পরে ডিপোজিট করি তাহলে কী কোনো সমস্যা হবে ??
উত্তরমুছুন