ইসলামকে নিয়ে মন্তব্য করার তুমি কে? সাফা কবির থেকে সেফুদা

ইসলামকে নিয়ে মন্তব্য করার তুমি কে? সাফা কবির থেকে সেফুদা


www.dhakastaff.com
সাফা কবির। তিনি পরকালে বিশ্বাস করেন না। মুসলিম নামধারী হয়েও পরকালে বিশ্বাস না করাটা প্রমাণ করে তিনি মুসলিম নন। তো, একজন নন মুসলিম পরকালে বিশ্বাস না ই করতে পারেন অথবা কোন ঈশ্বরবাদের বিশ্বাস না ই থাকতে পারে কিন্তু তুমি সাফা কবির, ইসলামের বিশ্বাসে আঘাত করার কে?


একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে থেকে, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার সামর্থ্যটা আমাদের হতচকিত করে দিয়ে যায়। একজন নাস্তিক স্রষ্টায় বিশ্বাসী কি না, সেটা নিতান্তই তার ব্যাপার কিন্তু কোন একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিশ্বাসে আঘাত করার ব্যাপারটি শুধু তার নয় বরং নির্দিষ্ট ধর্মের সকলের। একটি ধর্মের সকল মানুষকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার কে দিল তাকে?


তোমার অবিশ্বাসের যায়গায় তুমি থাকলেও আমার বিশ্বাসের যায়গায় তুমি আঘাত করার কে? 

সাফা কবির নাস্তিক নাকি আস্তিক এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক অনেক জটিলতা ছিল। এই জটিলতার অবসান হলেও সাফা কবিরের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া সর্বশেষের পোস্টটি নিয়ে পুনরায় হয়তোবা জটিলতা তৈরী হতে পারে কিন্তু আমার বিশ্বাস, সাফা কবিরের শেষ পোস্ট টি ছিল, চাপের মুখে পাবলিক সেন্টিমেন্ট আদায়ের প্রয়াস মাত্র। প্রকৃতপক্ষে সাফা কবির যা, তিনি সবসময় তা ই।

তো, সাফা কবির আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক সেটার দায়িত্ব স্রষ্টাকেই দেওয়া গেল কিন্তু সাফা কবিরের ফেসবুক ওয়ালে সাড়ে সাত লক্ষ ফলোয়ার তথা অনুসারী যারা আছেন তাদের দায়িত্ব কে নিবেন? একজন নাস্তিককে অনুসরণকারীর বিচার কি হবে? তারা কি মুসলিমদের তালিকায় পড়বেন? অথবা ইসলাম এ ব্যাপারে কি বলে? ইসলামের দৃষ্টিতে একজন মুসলিম কেবল আল্লাহ ও তার রাসুলের দেখানো পথকে অনুসরণ করতে পারবে এবং যারা ইসলামের দাওয়াত দেয় তাদের অনুসরণ করতে পারবে কিন্তু যে বা যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের অনুসরণ করা ইসলামী শরীয়াহ বিরোধী। 

অধিক সচেতনতার জন্য প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এই ব্যাপারে জ্ঞান আরোহণ করা।


www.dhakastaff.com


এবার আসুন, সেফুদায়। এই একজন ব্যাক্তি বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে কোণায় কোণায় আরোহণ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাক্তিকে কুৎসা করে রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গেছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এগুলো প্রচুর খায় বলেই মনে হয়। যদি কেউ বিএনপির বদনাম গায়, তবে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা ঐ ব্যাক্তির ফ্যান হয়ে যায়। আবার উল্টোটাও হয়, যদি কেউ আওয়ামীলীগের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে পারে তবে বিএনপি সমর্থকরা তার ফ্যান হয়ে যায়। সেফুদা তাদের মধ্যেই একজন। বাংলাদেশীরা রীতিমতো সেফুদাকে "আচার্য সেফুদা গুপ্ত" বানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে দুইদিন আগে এই লোকটি ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন কে ছিড়ে টয়লেটে ফেলে দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)।  

কেন ফেলে দিয়েছে? সে জানে তার অনেক অনুসারী। এই কাজটি করলে মার্কেটে তার দাম বৃদ্ধি পাবে। তার ফেসবুকে আপলোড করা দৃশ্যগুলো অনেক মুসলিম শেয়ার করেছেন। তারা তার জগন্য কাজটি মানুষের সামনে এনেছেন, ছড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যাপারটি এরকম যে, আগুন জ্বালালো সেফুদা আর আপনি শেয়ার করে আগুনের বিভীষিকা চারদিকে ছড়িয়ে দিলেন। আপনি তো, শেয়ার করে আরেক মুসলিমকে কষ্ট দিলেন সেটি কি ভেবে দেখেছেন?

একজন ব্যাক্তি, যাকে শুরু থেকেই মানসিক বিকারগ্রস্ত মনে হয় তাকে নিয়ে আপনাদের, আমাদের মাতামাতি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। সেফুদা ইসলামকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে কিন্তু মনে রাখবেন, সেফুদা ইসলামের কেউ নন যে তিনি ইসলামকে ব্যাখ্যা করার অধিকার রাখেন।

আপনারা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন তাদের অনুরোধ, এইসব সাফা কবির আর সেফুদাদের অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকুন।