ফেসবুক থেকে ইনকাম কোর্স : ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করা শিখো ধাপে ধাপে

ফেসবুক থেকে ইনকাম কোর্স : ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করা শিখো ধাপে ধাপে

বর্তমানে ফেসবুক দিয়েও অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়। নেট থেকে আয়ের এ সেরা সুযোগটি ফেসবুক অনেক আগেই উন্মুক্ত করে দিয়েছে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে- ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। 



ফেসবুক দিয়ে আউটসোর্সিং বা টাকা আয় করা খুবই সহজ। অনলাইন ইনকামের যতগুলো পদ্ধতি আছে তার মধ্যে ফেসবুকে আয় আমার মতে দ্বিতীয় সেরা। যারা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে চান তাদের ক্ষেত্রে ফেসবুক হতে পারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। যদিও ফেসবুক থেকে আয়ের বহু টেকনিক বা পদ্ধতি আছে কিন্তু সবগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করার তেমন প্রয়োজন পড়েনা। যে পদ্ধতিগুলো বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় তার মধ্যে কয়েকটি হলো-

  • ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়
  • ফেসবুকে প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে আয়
  • ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

প্রথম পদ্ধতি অর্থাৎ ফেসবুক ভিডিও পোস্টিং করে আয় করার জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। পেজে লাইক সংখ্যার উপর ভিত্তি করবে যে, ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন কি'না। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে পেজ না হলেও চলবে তবে অবশ্যই আপনাকে ফেসবুকে পপুলার হতে হবে নতুবা ফেসবুক থেকে ইনকাম আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

ফেসবুকে ভিডিও পোস্টিং করে ইনকাম করতে চাইলে অনেকটাই ইউটিউবের মতো পথ অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রেও ভিডিওতে এড শো করাতে গেলে প্রথমে আপনার পেজকে মনেটাইজেশন করে নিতে হবে। মনেটাইজেশন করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। মোটামুটি দশ হাজারের মতো লাইক এবং ৩০ হাজারের মত ভিউ হলে মনেটাইজেশন পাওয়া সম্ভব। ফেসবুকে ভিডিও পোস্টি করে কিভাবে আয় করবেন তার বিস্তারিত ধাপে ধাপে এই পোস্টেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি পড়া চালিয়ে যান।

ফেসবুক আয়ের দ্বিতীয় পদ্ধতি, প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং বলতে সাধারণত কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজিটিভ স্ট্যাটাস দেওয়া বুঝায় যেমন- আপনার একটি জনপ্রিয় পেজ বা গ্রুপ আছে। আপনি এই পেজ কিংবা গ্রুপে কোন এক কোম্পানির একটি বা দুটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে অর্থের বিনিময়ে রিভিউ দিলেন। আপনার এই রিভিউটির ফলে প্রোডাক্টের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে; কে দিবে এরকম ব্রান্ডিং করার অফার? এক্ষেত্রে প্রথমদিকে দুয়েকটি কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার যদি পপুলারিটি থাকে তবে নিঃসন্দেহে তারা আপনাকে ফেরাবে না তবে প্রথমদিকে টাকার পরিমাণ কম অফার করতে পারে। আপনার পেজের পপুলারিটির উপর সফলতা নির্ভর করবে প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে।

ফেসবুকের মাধ্যমে তৃতীয় যে পদ্ধতি আছে আয়ের সেটি হলো, এফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি হচ্ছে সাধারণত অনলাইন বিক্রয়কর্মীর মতো৷ যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে তার কমিশন নেওয়া হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা। আপনার কোন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থাকলে সেখানে প্রোডাক্ট সেল দিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সেলের উপর আপনার আয় নির্ভর করবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ভালো ভালো কোম্পানি রয়েছে যেমন আমাজন, ইবাই অথবা আলিবাবা। আপনি চাইলে এসব কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার পেজ বা গ্রুপে সেল দিতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায় জেনে নাও ৫ ধাপে

ফেসবুক আয়ের সুবিধা

ফেসবুক থেকে আয় করার নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। আগেও বলেছি, ফেসবুক একাউন্ট থেকে টাকা আয় করা অনলাইন ইনকামের দ্বিতীয় সর্বোত্তম পদ্ধতি। ফেসবুক ইনকামের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে-

  • যে কেউ ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • অনেক বেশি আয় করা যায়।
  • নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
  • নগদ অর্থ ইনকামের সুযোগ।
  • মোবাইলে আয় করা যায়।

এছাড়াও আরও বহু সুবিধা রয়েছে যেকারণে অনেকেই ফেসবুক থেকে আয়কে পেশা হিসেবেও বেছে নিতে চান।

ফেসবুক থেকে ইনকামের অসুবিধা

ফেসবুকে ইনকামের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়। অসুবিধাগুলো তেমন জটিল কোন বিষয় নয় তবে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। যেমন-

  • আপনার ভিডিও কপি হতে পারে।
  • পেজ যেকোন সময় ব্যান বা হ্যাক হতে পারে।
  • সমালোচনার স্বীকার হতে পারেন।

যদিও অসুবিধাগুলো প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তারপরও এগুলো ফেসবুকের ক্ষেত্রেই বেশি ঘটে থাকে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয়ের ধাপসমূহ

ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় তার একটি সম্যক ধারণা হয়তো এতক্ষণে আমরা পেয়েছি। এখন আমরা ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে যেভাবে আয় করা যায় তার পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে বিস্তারিত দেখবো।

ধাপ ০১: সুনির্দিষ্ট পেজ ক্রিয়েট করুন

আপনি কি ধরনের ভিডিও পোস্ট করবেন সেটি ঠিক করুন। প্রয়োজনে কয়েকদিন ভাবুন। নিজের প্রতিভা নিয়ে ভাবতে থাকুন। একদিন দুইদিন এভাবে যে কয়দিন লাগে ভাবতে থাকুন। মনে রাখতে হবে; আপনি যে পেজটি ক্রিয়েট করবেন সেটা থেকে অনলাইনে আর্ন করতে চাচ্ছেন। সুতরাং পেজের নাম এবং আপনার ভিডিও ক্যাটাগরি যেন মিল থাকে সেই দিকে খেয়াল রেখে পেজ তৈরী করুন।

কিভাবে একটি আদর্শ ফেসবুক পেজ তৈরী করা যায়; সেটি নিয়ে পুরো টিউটোরিয়াল আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে (প্রয়োজনে সেটি দেখে নিতে পারেন)। ফেসবুক পেজ তৈরি করার সময় অবশ্যই ইউজার নেমটি ঠিক করে নিবেন। পাশাপাশি পেজের ডিটেইলস বা ক্যাটাগরি সেট করে নিতে ভূলবেন না। আশাকরি; সঠিক নিয়মে পেজটি তৈরি করতে পারবেন। কোন কারণে পেজ ক্রিয়েট করার সঠিক নিয়ম না জানলে আমাদের ঢাকা স্টাফের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করবেন। সেখান থেকে হাতে খড়ি শিখিয়ে দেওয়া হবে।

ধাপ ০২: ভিডিও তৈরী করুন আপনার ফেসবুক পেজের ক্যাটেগরি অনুযায়ী

আপনি ফেসবুক পেজ খোলার সময় যে ধরণের ভিডিও বানানোর চিন্তা মাথায় এনেছিলেন; সে ধরণের ভিডিও বানানো শুরু করুন। এক্ষেত্রেও সময় নিয়ে আগাতে থাকেন। তাড়াহুড়ো করার কোন কারণ নেই। শুধু বিশ্বাস রেখে কাজে মনযোগী হোন। 

আপনি যেকোন ধরণের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি চাইলে গানের ভিডিও বা মিউজিক ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, আপনি চাইলে টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করেও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। আরও কিছু ভিডিও ক্যাটাগরি সাজেস্ট করছি যেমন-

  • ফানি ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।
  • খেলাধুলার ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকে আয় করতে পারেন।
  • প্রোডাক্ট বা মুভি রিভিউ করেও আয় করতে পারেন।
  • শর্টিফিল্ম করেও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।
  • নিউজ পোর্টাল খোলেও ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • গেমিং ভিডিও আপলোড করেও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
  • মোটিভেশনাল স্পিকার হয়েও আয় করতে পারবেন।

উপরে যেকোন একটি ভিডিও ক্যাটাগরি ধরে আপনি আগাতে পারেন অথবা একাধিক ক্যাটাগরিও অনুসরণ করতে পারেন। একাধিক ভিডিও বানাতে থাকুন এবং ভিডিওর মান যথাসম্ভব কোয়ালিটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।

ফেসবুক গ্রূপ থেকে টাকা ইনকামের ৫ ধাপ

ধাপ ০৩: ভিডিও পোস্ট করুণ নিয়মিত বিরতিতে

তিন নাম্বার ধাপটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করতে হবে। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই ভিডিওটি যথাযথ নিয়ম মেনে আপলোড করতে হবে। আপনার ভিডিওর ভিউ এবং পেজের পপুলারিটি ধরে রাখতে হলে নিচের পয়েন্টগুলো মনে রাখতে হবে-

  • প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১টি ভিডিও আপলোড করতে হবে।
  • একই সময়ে ভিডিও আপলোড দিতে হবে।
  • ভিডিও থামবানিল স্পষ্ট, আকর্ষণীয় এবং ভিডিও রিলেটেড হতে হবে।
  • কোন ভিডিও আপলোড করার পর সেটি ডিলিট করা যাবে না।
  • আপলোডের সময় টাইটেল যথাযথ দিতে হবে।
  • ভিডিওটি যথাযথ কিওয়ার্ড দিয়ে ট্যাগ করতে হবে।

উপরোক্ত নিয়ম মেনে ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চাইলেও; আপলোড করার সময় একই বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। নেট থেকে আয় করার জন্য এই ধাপটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ধাপ ০৪: ফেসবুক পেজ মার্কেটিং করুন

ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করলেও প্রথম দিকে তেমন ভিউ পাওয়ার সম্ভাবনা নাই কারণ প্রথম দিকে পেজে লাইক সংখ্যা কম। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও আপনার ভিডিওকে তেমন পাত্তা দিবেনা। এজন্য আপনাকেই প্রথম দিকে পেজের মার্কেটিং বা প্রচার করতে হবে। অনলাইনে আয় করতে চাইলে এই মার্কেটিং আপনাকে করতেই হবে। আপনার ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন৷

  • বন্ধুদের পেজ লাইক করার জন্য ইনভাইট করতে পারেন।
  • ভিডিও দেখার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
  • বিভিন্ন মিডিয়ার কামেন্ট বক্সে ভিডিও লিংক শেয়ার করতে পারেন।
  • পেইড মার্কেটিং অর্থাৎ ফেসবুককে টাকা দিলে ফেসবুক নিজেই মার্কেটিং করে দিবে।


ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার পেজটি প্রথমে ভালো লাইক, শেয়ার পেলেও পরবর্তীতে এগুলো কমতে শুরু করবে অর্থাৎ পপুলারিটি ফল করবে।

ফেসবুকে আয় করতে চাইলে অবশ্যই পেইড মার্কেটিং এ না যাওয়ার অনুরোধ করা হলো। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে চাইলে ধৈর্য্যশীল হয়ে নিজেই প্রচার চালিয়ে যান।

আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে দেই, আপনি আপনার দিক থেকে সর্বোচ্চ প্রচার চালিয়ে গেলে এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকলে ২/৩ মাসের মধ্যেই পঞ্চম ধাপে চলে যেতে পারবেন।

ধাপ ০৫: এড ব্রেকস চালু করুন

এড ব্রেকস হলো আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য কিছু সময়ের জন্য বিরতি। ভিডিও চলাকালীন সময়ে নির্দিষ্ট সময় পর আপনার ভিডিওর মাঝখানে এক বা একাধিকবার বিজ্ঞাপন প্রচার করবে ফেসবুক৷ এই বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের কারণেই আপনি অর্থ পেয়ে থাকবেন। এড ব্রেকস চালু করতে হলে আপনাকে প্রথমেই আপনার পেজটিকে মনেটাইজেশন করে নিতে হবে। মনেটাইজেশন করার ক্ষেত্রে নিচের দুটি বিষয় খেয়াল করুন-

  • আপনার পেজটির ফলোয়ার তথা লাইক সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক কি না।
  • আপনার পেজের ভিডিওগুলো গত ৬০ দিনে ৩০ হাজার বারের চেয়েও বেশি প্রদর্শিত কি না৷

যদি আপনার পেজটি উপরোক্ত দুইটি বিষয়ে হ্যাঁ সূচক হয় তবেই আপনি আপনার পেজটি মনেটাইজেশন করতে পারবেন। এছাড়া ফেসবুক মনিটাইজেশন লিংকে প্রবেশ করেও আপনি পেজের মনেটাইজেশন এলিজিবিলিটি চেক করতে পারবেন। 

যদি মনেটাইজেশনের জন্য উপযোগী হোন তাহলে উপরোক্ত লিংকে যাওয়ার পর মনেটাইজেশনে এপ্লাই করার জন্য একটি অপশন পাবেন। যথা নিয়মে মনেটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন। আবেদন করা হয়ে গেলে আপনার আবেদনটি রিভিউ করা হবে। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি রিভিউ এর ফলাফল পেয়ে যাবেন।

মনেটাইজেশন নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়লে আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে পারেন। লাইভ সাপোর্টের ব্যবস্থা পাবেন।

মনেটাইজেশনের আবেদন সাকসেসফুল হলে; নতুন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে এড ব্রেকস চালু করে দিন৷ এড ব্রেকস চালুর ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি আছে; স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়ালি। প্রথম প্রথম স্বয়ংক্রিয় অপশনটি ব্যাবহার করুন। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে এড প্রদর্শন করবে। ভিডিও আপলোড করার শেষ ধাপে এড ব্রেকস এর অপশনটি পাবেন।

ধাপ ০৬: পরিশ্রম চালিয়ে যান

যে পরিশ্রম শুরু করেছেন তা থামানো যাবেনা। চালিয়ে যেতে থাকুন। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু ভাবুন। মোবাইল দিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা; বাড়তি ইনকামের একটা সুযোগ। সুতরাং আপনার যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নাও থাকে তবুও মোবাইল দিয়ে আয় করা শুরু করুন। মোবাইল দিয়েও ছোট ছোট গ্রাফিক্সের ভিডিও বানানো যায়। 
আমাদের ব্লগটি কেউ কপি-পেস্ট করবেন না। "ফেসবুক থেকে ইনকাম কোর্স : ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করা শিখো ধাপে ধাপে" নামক এই ব্লগটির মালিক কেবল ঢাকা স্টাফ। যদি কেউ এই ব্লগের কিছু অংশ বা পুরো ব্লগটি কপি করে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তবে আমরা গুগল এডসেন্স বরাবর ডিএমসিএ লেটার পাঠিয়ে সেই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

আপনি যদি ছাত্র হোন তাহলে ছাত্রদের জন্য ফেসবুক থেকে আয় করা অনেকটাই আশীর্বাদস্বরপ। টিউশনির ফাকা ফাকে পরিশ্রম চালিয়ে যান। নতুন নতুন ভিডিও পোস্ট করতে থাকুন। কোন ভিডিও ফ্লপ হবে আবার কোন ভিডিও ভাইরাল হবে। ফ্লপটা ভুলে যান; ভাইরাল হওয়াটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র-

  • ভূল নিয়ে মাথা ঘামানো যাবেনা।
  • ফ্লপ ভিডিও নিয়ে চিন্তা করা যাবেনা।
  • আয় নিয়ে বেশি ভাবা যাবেনা।
  • নতুন ভিডিও নিয়ে আশাবাদী হোন।

এছাড়াও পরিশ্রম ই সফলতার চাবিকাঠি। সুতরাং ফেসবুক ভিডিও থেকে ইনকাম করতে চাইলে পরিশ্রমের বিকল্প কেবলই পরিশ্রম। সুতরাং পরিশ্রম চালিয়ে যান।

ধাপ ০৭: পেআউট করুন

ফেসবুক পেজ থেকে আর্নিং মানি উত্তোলন করাকে পেআউট বলা হয়। প্রায় সকলের জন্যই এ ধাপটি এক্সাইটেড। ফেসবুক থেকে আয় করা অর্থ উত্তোলন করার জন্য দুটি মাধ্যম আছে। মাধ্যম দুটি হলো-

  • পেপ্যাল এর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা উত্তোলন।
  • ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা উত্তোলন।

বাংলাদেশে পেপ্যাল এভেইলেবল না থাকায়; পেপ্যাল একাউন্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবেনা। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা অর্থ উত্তোলনের জন্য কেবল ব্যাংক একাউন্টই একমাত্র পে-আউট মেথড। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। 

আবারও মনে করিয়ে দিই; ব্যাংক একাউন্টটি অবশ্যই পেজের যে এডমিন তার নামেই হতে হবে। পেআউটের জন্য আপনার ব্যাংক একাউন্টি ফেসবুকের বিজনেস সেকশনের মনেটাইজেশন অংশে পেআউট মেথডে সংযুক্ত করে দিতে হবে। সংযুক্ত করার পর ফেসবুক আপনার নাম, ঠিকানা ভেরিফিকেশন করবে। ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে ফেসবুক মেসেজ দিয়ে নিশ্চিত করবে। এরপর আপনি আপনার আয়কৃত অর্থ ব্যাংক একাউন্টে পেআউট করতে পারবেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

ফেসবুকে কত আয় করা যায়? ফেসবুক থেকে কিভাবে দৈনিক ১০০ ডলার আয় করা যায়? ইত্যাদি প্রশ্ন প্রায় প্রায় প্রতিদিন ই শুনতে হয়। আসলে ফেসবুক থেকে ইনকামের নির্দিষ্ট কোন পরিমান নেই। আপনি ফেসবুকে দৈনিক এক হাজার ডলারও আয় করতে পারেন, একশো ডলারও আয় করতে পারেন আবার এমনও হতে পারে যে; কোন ইনকাম ই হচ্ছে না। 

ফেসবুকে ইনকাম নির্ভর করবে আপনার ভিডিও ভিউ এর উপর এবং সেই সাথে আপনার ভিডিওতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার উপর। ফেসবুকে সাধারণত; ভিডিও এড শো করা হয়। এক্ষেত্রে, ক্লিক না করলেও ফেসবুক অর্থ পেইড করবে। যদি ভিডিও এড শো এর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক পড়ে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এক্সট্রা পেইড করা হবে। 

অনেক সময় দেখা যায়; ভিডিও চলার সময় এড আসলে ভিউয়ার আর ঐ ভিডিও দেখেন না ফলে ভিডিও ভিউ হলেও এড ভিউ হয়না। এরকম ভিউ এর জন্য কোন অর্থ পাবেন না। আবার ভিডিও একটু দীর্ঘ এবং সেই সাথে পপুলার হলে ফেসবুক সেখানে একাধিক বিজ্ঞাপন প্রচার করে ফলে এরকম ভিডিওতে ভিউ কম হলেও রেভিন্যুউ বা আয় অনেক বেশি হয়। সব মিলিয়ে এটুকু বলা যায়; চেষ্টা করুন প্রতিমাসে কয়েক লাখ ভিউ আনার তাহলে ইনকাম নিয়ে তেমন একটা চিন্তা করতে হবে না।

আরও পড়ুন>>>>

বিটকয়েন আর্ন করার লিগ্যাল উপায় জেনে নাও

আউটসোর্সিং এর কাজ করতে চাইলে যাবতীয় সকল তথ্য জেনে নিন

মাস্টার কার্ড কি? অনলাইনে কিভাবে মাস্টার কার্ড পাওয়া যায় জেনে নিন ধাপে ধাপে  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

  1. ইনফরমেটিভ স্যার। ব্লগ দিয়ে ফেসবুক থেকে কিভাবে আর্ন করবো তার টিউটোরিয়াল টা যদি দিতেন।

    উত্তরমুছুন
  2. ভাইয়া আপনার কথা গুলো খুব ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন
  3. অনেক কিছু জানতে পারলাম। যদিও ধর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে, এত বড় লেখার পেছনে।

    উত্তরমুছুন
  4. ইউটিউব থেকে কোন ভিডিও ডাউনলোড করে সরাসরি যদি ফেইসবুক কিংবা ফেইসবুক পেইজে আপলোড করি তাহলে কি আমার ফেইসবুক তথা আমার ফেইসবুক পেইজ কি মনিটাইজেশন পাবে? এই বিষয়ে কিছু ধারণা দিন।

    উত্তরমুছুন