এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় জেনে নিন ধাপে ধাপে

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় জেনে নিন ধাপে ধাপে

ঘরে বসে আয় করতে চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য খুব সুন্দর একটি উপায়। ছাত্রদের জন্য ঘরে বসে আয় করা তো বটেই; একজন গৃহিনী কিংবা চাকুরিজীবিও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন খুব সহজে। অনলাইনে আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকের কাছেই প্রিয়; এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার পর আপনার কাছেও প্রিয় হতে বাধ্য। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে আয় করতে চাইলে আমাদের ব্লগটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আশাকরি লেখাটি পড়ার পর; কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হয় সেটি সম্পর্কে পুরো ধারণা পেয়ে যাবেন এবং নিজে নিজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় সেটি জানার আগে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। সম্যক ধারণা থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার প্রতি ইন্টারেস্ট জন্মাবে এবং ভবিষ্যতে ঘরে বসে আয় করার এই উপায়টি আপনারা স্বাদরে গ্রহণ করবেন।


www.dhakastaff.com


এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কেন?

আমরা অনেক সময় ঘরে বসে আয় করার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করি- "Earning from Afiliate Marketing" অথবা অনেকেই বাংলায় লিখি- "এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চাই" ইত্যাদি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়? 

সোজা কথায় যদি আপনাদেরকে বলি তাহলে বলবো- এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো; এক ধরনের অনলাইন সেলসম্যান। আমরা অনেক সময় মার্কেটে গেলে দেখি; কিছু সেলসম্যান বা বিক্রয়কর্মী আছে যারা আপনাকে দেখে বলে- "মামা, এটা নেন। এটা অনেক ভালো প্রোডাক্ট" ইত্যাদি। ঠিক এসব বিক্রয়কর্মীদের মতো করেই আপনাকে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে; তবে সেটি কোন মার্কেটে বসে নয় বরং ঘরে বসে যখন খুশি তখন। আর এভাবে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট অনলাইনে সেল করে দেওয়াকেই বলে এফিলিয়েট মার্কেটিং। প্রশ্ন করতে পারেন; তাহলে আপনার লাভ কোথায়? আপনার লাভ হলো; অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারলে, ঐ প্রোডাক্টের লাভের একটি অংশ আপনাকে দেয়া হবে আর এভাবেই আয় করার পদ্ধতিকেই বলা হয়- Earning from affiliate marketing from home বা ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। কিভাবে এবং কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট ঘরে বসে সেল করবেন সেটি নিয়ে আদ্যোপান্ত আলোচনা এই পোস্টেই পাবেন ধাপে ধাপে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন? এফিলিয়েট মার্কেটিং করার অনেকগুলো কারণ আছে তার মধ্যে মূল এবং আসল কারণটি হলো; এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপনাকে এক্সট্রা কারিকুলামের প্রয়োজন পড়বে না অর্থাৎ ঘরে বসে আয়ের অন্য প্রায় সকল উপায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার তেমন প্রয়োজন নেই। বিনা অভিজ্ঞতায় আপনি এখন থেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন৷ আরও যেসকল কারণে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় সেগুলো হলো-

  • কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই: অনলাইনে ইনকাম করতে গেলে অনেক সময় কম্পিউটার না হলে চলেনা কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটি একদম প্রযোজ্য নয়। কম্পিউটার ছাড়াই ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইলেই ভালো এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। সুতরাং কেউ যদি মোবাইলে ইনকাম করতে চায় তবে তার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং শ্রেয়তম।

  • যে কারো জন্য প্রযোজ্য: ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহিনী কিংবা চাকুরীজীবি; যে কেউ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। ক্লাসের ফাকে, বাসের সিটে বসে যেকোন জায়গা থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় বলে; কমবেশি সবারই আগ্রহ থাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার। যেকোন বয়সী মানুষই এটি করতে পারে।

  • বিনা পুঁজিতে দোকান দেওয়ার সুযোগ: যেসকল কোম্পানি এফিলিয়েট মার্কেটিং এপ্রুভ করে সেগুলোর যেকোন প্রোডাক্ট আপনি সেল করতে পারবেন। নিজের প্রোডাক্টের মতো করেই কাস্টমারদের আকৃষ্ট করবেন; অনেকটা নিজের দোকানের মতো বিজনেস। অনলাইনে একটি দোকান ক্রিয়েট করে সেখান থেকে সেল করবেন; মনে হবে যেন নিজেরই দোকান। 

  • অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই: অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ের ক্ষেত্রে কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইউটিউব চালানো এবং নেট ব্রাউজিং করার মতো যোগ্যতা থাকলেই আপনি ই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। ইংলিশে কথা বলার মতো যোগ্যতা থাকলে আপনাকে এক্সট্রা সুবিধা দিবে তবে থাকতেই হবে এমনটা নয়।

এছাড়াও আরও নানাবিধ কারণ আছে যেগুলোর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা অনেকটাই সহজ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার আরেকটি কারণ হলো; অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ইনকামের পরিমানটা অনেক বড়। মাঝে মাঝে বড় বড় কোম্পানির মার্কেটিং সেকশনে জবের অফারও আসে; সুতরাং এফিলিয়েট মার্কেটিংকে নেশা হিসেবে নিলে যেকোন সময় পেশাতেও পরিণত হতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন কোম্পানি আছে?

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য পৃথিবীতে বহু কোম্পানি আছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান এটিকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও বলে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার সুবিধা প্রায় সকল দেশেই আছে। বাংলাদেশ থেকেও ফ্রীলান্সাররা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে শত শত ডলার আয় করছে৷ পরিশ্রম এবং সঠিকভাবে চেষ্টা করলে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বাংলাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো সেরা সেগুলো হলো- 

  • আমাজন: নতুন করে আমাজন সম্পর্কে বলার কিছু নেই। অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান এটি৷ আমাজন থেকে  এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন যে কেউ। আমাজনের এফিলিয়েট সার্ভিসটি "নাম্বার ওয়ান এফিলিয়েট মার্কেটিং" হিসেবে দুনিয়াজুড়ে সমাদৃত। আমাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রধান যে সুবিধা সেটি হলো- আমাজন প্রায় সকলের কাছেই বেচাকেনার জন্য বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম; সেজন্য অনলাইনে কাস্টমার পেতে তেমন বেগ পেতে হয়না। এছাড়া আমাজনের পেআউট অপশন বাংলাদেশ থেকে এপ্রুভড। ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি আমাজনের এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়কৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।

www.dhakastaff.com


  • ইবেই: আমাজনের মতো ইবেই ও পণ্য বেচাকেনার একটি প্রতিষ্ঠান। ইবেই এর এফিলিয়েট মার্কেটিং সেবাও বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। ইবেই থেকে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকামের রেকর্ড আছে৷ আপনি চাইলে ইবেই এর এফিলিয়েট মার্কেটিং সেবা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। ইবেই এর প্রধান যে সুবিধা সেটি হলো; এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন হওয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়ের সুবিধা সহজতর করে দিয়েছে। ইবেই এর পে-আউট মেথডও মোটামুটি সহজ। ব্যাংকের মাধ্যমেই আপনি পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ইবেই হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট।

  • শপিফাই: শপিফাই থেকেও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। শপিফাই ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে কাস্টমার পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যায় তারপরও শপিফাই ব্যবহার করে একটু পরিশ্রম করলেই মাসে কয়েকশত ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন।

এছাড়াও বাংলাদেশেরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে থাকে যেমন ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি ডায়ানাহোস্ট, আজকেরডিল ইত্যাদি। আপনি বাংলাদেশি কোন প্রতিষ্ঠান থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় করতে পারেন। 


এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবো?

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে অর্থ আয় করা যায় সেটি আমরা কয়েকটি ধাপে সাজিয়েছি। ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনারা বুঝে যাবেন; কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে হবে। ধাপগুলো শুরু করার আগে কয়েকটি কথা না বললেই নয় তা হলো- প্রথমত, অনলাইনে বেচাকেনা করাটাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট সেল করতে না পারেন তবে আপনাকে কোন অর্থই পেইড করা হবে না। আর দ্বিতীয় যে কথাটি সেটি হলো; পরিশ্রম যত করবেন ততই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার ট্রিকস হলো- মানুষের সাথে যোগাযোগের স্কিল বাড়ানো। যত বেশি মানুষকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইমপ্রেস করতে পারবেন তত বেশি প্রোডাক্ট সেল হবে আর তত বেশি ইনকামও হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ের ধাপগুলো শুরু করবো। আপনারা অবশ্যই মনযোগ দিয়ে পড়বেন এবং ধাপে ধাপে কাজগুলো করার চেষ্টা করবেন। যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে কিভাবে "সাইন আপ" বা "সাইন ইন" করতে হয় সেটি জানতে হবে, কিভাবে লিংক কপি করতে হয় সেটিও জানতে হবে। আমি আগেও বলেছি এই কথা যে; এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ব্রাউজিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে।

ধাপ ০১: এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি কি প্রোডাক্ট আপনি সেল করতে পারবেন তার প্লেনিং করুন


এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে কিছু হোমওয়ার্ক করে নিতে হবে। কি কি প্রোডাক্টের ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন তার একটি চার্ট করে ফেলুন। প্রয়োজনে কয়েকদিন সময় নিন। এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরু করে যদি আয় করতে না পারেন তাহলে সম্ভাবনাময় এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে আর দেখা যাবেনা। সুতরাং কয়েকদিন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে ভাবতে থাকুন। যে যে প্রোডাক্ট আপনি সেল করবেন বলে ভাবছেন; সেগুলো সম্পর্কে আপনার জানাশোনা আছে কি না সেটিও ভাবুন। আপনাকে আমরা একটু হেল্প করতে চাই যে আপনি বাংলাদেশে কি কি টাইপের প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন-

  • ইলেকট্রনিকস এর পণ্য সেল করে এফিলিয়েট মার্কেটিং: বর্তমান বিশ্বে ইলেকট্রনিকসের প্রোডাক্টগুলো বেশিরভাগই অনলাইনে সেল করা হয়। আপনি হয়তো খুচরা বাজার থেকে কিনে অভ্যস্ত কিন্তু আপনি যাদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিকসের পণ্যগুলো ক্রয় করেন তাদের অধিকাংশই অনলাইনেই প্রোডাক্ট অর্ডার করে থাকে। ইলেকট্রনিকস পণ্যের মধ্যে আছে- মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি। নতুন নতুন মডেলের মোবাইল আপনারা সেল দিতে পারেন। বাংলাদেশে একটি মোবাইল ফোনের যে মূল্য; ঐ একই মডেলের মোবাইল ফোনের মূল্য আমাজন কিংবা ইবেই তে কিছুটা কম। প্রোডাক্টের মূল্য কিছুটা কম হওয়ায় অনেকেই এখন দোকানে না গিয়ে বরং অনলাইনেই অর্ডার করে থাকেন। বাংলাদেশে যেহেতু মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের চাহিদা ব্যাপক সেহেতু ইলেকট্রনিকস এর এই পণ্যগুলো দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

  • ডিজাইন এন্ড ফ্যাশন প্রোডাক্ট সেল করে ডিজিটাল মার্কেটিং: ইলেকট্রনিকস পণ্যের পর ফ্যাশন এন্ড ডিজাইনের প্রোডাক্টগুলোর চাহিদা বাংলাদেশে ব্যাপক। ছেলেদের ঘড়ি, মেয়েদের বিভিন্ন রকম গহণা, জুতা ইত্যাদি প্রোডাক্টগুলোর চাহিদা বাংলাদেশে কেমন তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে অনলাইনে অরিজিনাল পণ্য পাওয়া যায় বলে অনেকেই এখন ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই এসব ফ্যাশন এন্ড ডিজাইনের পণ্যগুলো অনলাইনে সেল করে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা নিতে পারেন।

  • বাচ্চাদের খেলনাও বিক্রি করতে পারেন: বাচ্চাদের খেলনার চাহিদা কার নেই? প্রত্যেক পরিবারেই দুয়েকটি বাচ্চা থাকে। কাজের ফাঁকে বাচ্চাকে নিয়ে দোকানে গিয়ে খেলনা কিনে দেওয়ার সময় হয়না অনেকেরই। তাই দেখা যায়; অনলাইনেই বাচ্চাদের খেলনার অর্ডার করে থাকেন বাবা মায়েরা। অন্যান্য দেশের নিত্য নতুন খেলনা দেখলে অনেক বাবা মা ই কিনতে ইচ্ছুক হবেন। অপেক্ষাকৃত কম দামে নতুন নতুন খেলনা সেল করেও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন।

চাইলে এরকম আরও বহু অপশন আছে৷ আপনার যে প্রোডাক্ট সেল করতে ভালো লাগবে আপনি সেটি ই সেল করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। আপনি চাইলে একাধিক প্রোডাক্টও সেল দিতে পারবেন; তবে যেকোন এক প্রকার পণ্যের উপর জোর দিলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সহজ হয়ে যায়। 


ধাপ ০২: একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইডি খুলুন

দ্বিতীয় ধাপটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রোডাক্ট সেল করার জন্য আপনার কাস্টমারের প্রয়োজন পড়বে। এই কাস্টমারগুলো আপনি কোথায় পাবেন? এর উত্তর হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমবেশি আপনারও আনাগোনা আছে। এসকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই আপনাকে টার্গেটেড কাস্টমার খোজতে হবে এবং ভবিষ্যতে এসকল যোগাযোগমাধ্যমেই প্রোডাক্ট সেল করে আয় করবেন। এই মাধ্যমগুলোকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্লাটফর্ম বলা হয়। এরকম কিছু প্লাটফর্ম ইন ডিটেইলস দেওয়া হলো-

  • ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়: ফেসবুকে একাউন্ট খোলে সেখানে যে ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে চান সে ধরনের মনমানসিকতা বিশিষ্ট মানুষের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করুন। ফেসবুকে একটি পেজ এবং একটি গ্রুপ খুলুন। আপনি যে ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে চান সে ধরনের প্রোডাক্ট রিলেটেড পোস্ট নিয়মিত করতে থাকুন। প্রচুর সময় দিন৷ ২/৩ মাস পরিশ্রম করলে মোটামুটি কয়েক হাজার ফ্যান বেজ তৈরি করতে পারবেন। যতবেশি ফ্যান ফলোয়ার কিংবা ফেসবুক মেম্বার হবে ততবেশি প্রোডাক্ট সেলের সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং টার্গেটেড কাস্টমারদের একটি গ্রুপে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা বাংলাদেশে খুবই সহজ কেননা বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকরই ফেসবুক একাউন্ট আছে৷ প্রয়োজনে ফেসবুকে একাধিক একাউন্ট খুলুন। বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করুন। কথা বলুন। নিজের আইডিকে একটু ভারী ভারী করার চেষ্টা করুন।

বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক অপ্রতিদ্বন্দ্বী কেননা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাংলাদেশে তেমন জনপ্রিয় নয় সুতরাং ফেসবুককে এফিলিয়েট/ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বেশি গুরুত্ব দিন। 

  • টুইটার দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন: টুইটার বাংলাদেশে তেমন পপুলার না হলেও প্রফেশনাল মানুষের অধিকাংশই টুইটারে বেশি থাকেন। অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রফেশনাল মানুষরাই আগ্রহের শীর্ষে সুতরাং টুইটার হতে পারে আপনার জন্য ভালো একটি প্লাটফর্ম। টুইটারে একাধিক একাউন্ট খোলে সেখানে প্রোডাক্ট রিলেটেড ভালো ভালো টুইট কিংবা যেকোন ধরনের টুইট করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ান। মাঝে মাঝে ফলোয়ারদের সাথে আড্ডা দিন যেন তারা আপনাকে বিশ্বাস করে। একটি বিশ্বাস করার মতো এবং প্রোডাক্ট রিলেটেড ফলোয়ার তৈরি করতে পারলে টুইটার দিয়েও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। 

  • ইউটিউব দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন: বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। আপনি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট রিলেটেড ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলুন। চ্যানেলটিতে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ দিন। জাঁকজমকপূর্ণ বিজ্ঞাপণ দিয়ে আপনার চ্যানেলের সাইবস্ক্রাইব বাড়ান। যত সাবস্ক্রাইব বাড়বে; আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমার ততই বৃদ্ধি পাবে৷ পরিশ্রম চালিয়ে গেলে ইউটিউবে ভালো সাবস্ক্রাইব পাওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনি চাইলে যেকোন ভিডিও কপি পেস্ট করেও পোস্ট করতে পারবেন। কপি পেস্ট পোস্ট দিয়ে ইউটিউবে মার্কেটিং করা যায় কিন্তু ইউটিউব মনেটাইজেশন করে আয় করা যায় না৷ সুতরাং আপনার উদ্দ্যশ্য যেহেতু ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা সেহেতু কপি পেস্ট করেও ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

এছাড়াও আরও বহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আছে যেখানে আপনি আপনার আইডি ক্রিয়েট করে ফ্যানবেজ বাড়াতে পারবেন। যেমন- লিংকড-ইন, ইন্সটাগ্রাম, ইমো ইত্যাদি। আপনি ন্যুনতম প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুয়েকটি করে আইডি খুলে ফ্যানবেজ বাড়াতে থাকুন। ২/৩ মাস নিয়মিত পরিশ্রম করলে সব মিলিয়ে ২০/৩০ হাজার ফলোয়ার থাকবে আপনার। ২০ হাজার ফলোয়ার থাকার মানে হচ্ছে- আপনার কাস্টমার সংখ্যা ২০ হাজার। পরিশ্রম করলে এই ২০ হাজার থেকেই শুরু করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


ধাপ ০৩: পছন্দের যেকোন এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানে এফিলিয়েট একাউন্ট ক্রিয়েট করুন

আপনার পছন্দের প্রতিষ্ঠান কোনটি? কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য সেল করে আয় করতে চান? এগুলো নিয়ে ভেবেচিন্তে একাউন্ট ক্রিয়েট করুন। আপনি চাইলে এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন। তবে যেকোন প্রতিষ্ঠানে একাউন্ট ক্রিয়েট করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত সেগুলো হলো-

  • প্রতিষ্ঠানটি নির্ভরযোগ্য কি না।
  • পেমেন্ট রিসিভ মেথড বাংলাদেশে প্রযোজ্য কিনা।
  • প্রতিষ্ঠানটি সবার পরিচিত কি না।
  • প্রতিষ্ঠানটি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিরকম পরিশোধ করে ইত্যাদি।

উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই কেবল কোন প্রতিষ্ঠানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আবেদন করতে পারেন। আমরা উপরে কিছু প্রতিষ্ঠান লিখে দিয়েছি যেগুলোর কিছু দুনিয়াজুড়েই বিখ্যাত আর বাংলাদেশি যেগুলো সেগুলোর ব্যাপারে সবাই কমবেশি জানেন।

ধাপ ০৪: লিংকসহ প্রোডাক্টের মার্কেটিং করুন

একাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে মূল কাজে যেতে হবে। পণ্য বিক্রির জন্য আপনাকে উঠে পড়ে লাগতে হবে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আবেদন করেছেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক, প্রোডাক্টের ডিটেইলস সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। ধাপ ০২ তে আপনি যে একাউন্টগুলো খুলেছেন তার প্রতিটিতে প্রোডাক্ট লিংকসহ ডিটেইলস পোস্ট করুন৷ কারও সাথে পার্সোনালি যোগাযোগও করতে পারেন। অতিরিক্ত দুটি মার্কেটিং কৌশল আপনাকে শিখাতে চাই যেমন-

  • ফেসবুক ও ইউটিউবের কামেন্ট বক্সে মার্কেটিং: এক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্টের ডিটেইলস এবং লিংক কপি করে বিভিন্ন ফেসবুক পেজের কামেন্ট বক্সে কামেন্ট করতে হবে। এভাবে আপনি বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিওর কামেন্ট সেকশনেও পেস্ট করতে পারেন।

  • বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় এরকম সাইটে মার্কেটিং: বাংলাদেশের "বেশতো" কিংবা আন্তার্জাতিকভাবে জনপ্রিয় "Quora" তে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আপনি তার উত্তরে আপনার প্রোডাক্টির ডিটেইলস সুক্ষ্মভাবে দিয়ে দিতে পারেন। এভাবে মার্কেটিং করে অনেক সংখ্যক কাস্টমার পাওয়া পজিবল। 

লিংক শেয়ার করা খুব খারাপ লাগতে পারে বাট একাউন্টে কিছু টাকা জমা হলেই সেটি ধীরে ধীরে কেটে যাবে। কাজের ক্ষেত্রে কোন ইগো না রাখাই ভালো; আপনি কাজ করে খাচ্ছেন সুতরাং একটু খারাপ লাগলেও মেনে নিন।

আরও অনেক টেকনিক আছে যেগুলোর সাহায্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রোডাক্ট সেলের পরিমান বাড়াতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কৌশল নিয়ে অন্যকোন ব্লগে আলোচনা করা যাবে৷ তারপরও যদি এরকম টেকনিক এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কোন ধরনের হেল্প লাগে তবে আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনে আমরা লাইভে টেকনিক শিখিয়ে দিবো যে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ সেল বাড়াবেন। 

ধাপ ০৫: পরিশ্রম চালিয়ে যান এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর পেআউট করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুধু নয়; যেকোন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। অনেকসময় কাস্টমারকে বুঝাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়। তবুও মানুষ মার্কেটিং করে। আয় যেমনই হোক; মার্কেটিং চালিয়ে যেতে থাকুন। কোন মাসে আয় বেশি হবে আবার কোন মাসে আয় বেশি হবে। আয় ব্যয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং নিজের কাজটি সঠিক মতো চালিয়ে যান। নিজের একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা হলে সেটি পেআউট করে ফেলুন। পেআউট করার ক্ষেত্রে নিজের ব্যাংক একাউন্ট ব্যাবহার করুন। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে মনে রাখুন-

  • তৃতীয় কোন ব্যাক্তি দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে যাবেন না।
  • কারো প্ররোচনায় মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড কাউকে দিবেন না।
  • প্রয়োজনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে কিভাবে টাকা উত্তোলন করতে হয় শিখুন।

এছাড়াও বেশিদিন টাকা একাউন্টে জমা না রাখাই শ্রেয়। দুনিয়াজুড়ে শকুনের চোখ তো থাকেই; সে চোখ পড়ার আগেই নিজের পারিশ্রমিকটুকু নিজের ব্যাংকে তুলে নিন। এটা শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেই নয়; ঘরে বসে আয় করার যেকোন উপায়ের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।


এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং করে দৈনিক আয় করুন ১০০ ডলার! এরকম অনেক কথাই অনলাইনের পাতায় পাতায় ঘুরতে দেখা যায়। অনেকে আমাদের প্রশ্ন করেন- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায় কত টাকা? এর উত্তর হলো, কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখও আয় করা যায়। আবার কপাল মন্দ হলে মাস শেষে এক টাকাও আয় না হতে পারে। আয় নির্ভর করছে আপনার প্রোডাক্ট সেলের উপর। আপনি প্রোডাক্ট সেল করতে পারলে টাকা পাবেন নইলে পাবেন না। বেশি প্রোডাক্ট সেল দিলে বেশি টাকা; কম দিলে টাকাও কম। তাই এভাবে ঠিক বলা যাবে না যে; দিনশেষে আপনি কত টাক আয় করবেন। তবে ঠিকঠাক এবং পরিকল্পনা মাফিক এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে থাকলে এখান থেকে প্রতিমাসে চলার মতো একটি এমাউন্ট পেতে পারেন; হতে পারে এটি ১০ থেকে ১৫ হাজার। মনে রাখতে হবে- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় হলো- অনলাইনে পরিশ্রম পরিশ্রম এবং পরিশ্রম।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

  1. আপনার লিখান অনেক ভাল হয়ছে। আসাকরি আর ভাল লিখা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ।
    আপনি টেক রেলেটেড লিখা পরেতে চান |
    আমেরিকা ডিবি লটারি । ডিবি লটারি বাংলাদেশ । ডিবি লটারি বাংলাদেশ ২০২২
    https://www.filtps.com/2020/12/america-db-lottery.html ক্লিক করুন

    উত্তরমুছুন
  2. আসসালামুআলাইকুম, প্রথমেই বলে রাখি আমি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অনেক বার ভিজিট করি, বিভিন্ন বিষয় শিখেছি, আমি ক্লাস নাইনে পড়ি, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি পড়াশুনার পাশাপাশি সিপিএ কাজ করি, কাজ টা হারাম আমার খুব খারাপ লাগে কিন্তু বাধ্য হয়ে করি অভাবের জন্য, আমি অনেক রিসার্চ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো বলে মনোস্হির করেছি, আমি দ্বারাজ এবং অ্যামাজন দুইটাতেই শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। আমার কথা হচ্ছে আমি যদি ফেইসবুক পেইজ এর মাধ্যমে এপ্র্যুভ নিয়ে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কে ইনবক্স এ জিমেইল সেন্ড যদি মার্কেটিং করি তাইলে কি আমার এফিলিয়েট এক্যউন্ট এর কোন ক্ষতি হবে,আর ওয়েবসাইটের কিছু আমি বুঝিনা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি ওয়েব সাইট অবশ্যক না কি? আপনার একটি রিপ্লাই আর কিছু পরামর্শ হয়তো আমার ক্যারিয়ার গড়তে অনেক সাহায্য করবে তাই ভাই প্লিজ আপনার অমুল্য সময় থেকে এই ছোট্ট কে 5 মিনিট সময় দেন প্লিজ! আশায় আছি কখন রিপ্লাই আসবে।

    উত্তরমুছুন
  3. টাইমস বাংলাদেশ পত্রবকা থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
    Times-bangladesh.com

    উত্তরমুছুন
  4. ধন্যবাদ অনেক কিছু শিখলাম, আমাকে বলুন কিভাবে একাউন্ট খুলব,এবং টাকা আসছে সেটা বুজব।

    উত্তরমুছুন