সাকিব আল হাসান |
সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সংস্থা আইসিসি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে এমন সময় ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হলো যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে অশনিসংকেত চলছে। কিছুদিন আগে ক্রিকেটারদের বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে ধর্মঘট ডাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটেররা। সেই ১১ দফা দাবি পূরন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি ক্রিকেটারদের ঘরে ফেরালেও সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক আইসিসি।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা জাড়ি এমন সময় করা হলো যখন বাংলাদেশ কিছুদিন পরেই প্রথমবারের মত ভারতে পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছিল।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পেছনে বিসিবির বোর্ড সভাপতি মিঃ পাপন জড়িত বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীরা কিন্তু যদিও আইসিসির ঘোষণায় দেখা যায়, সাকিবকে যে অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছে আইসিসি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি এবং সর্বশেষ একই বছর আগস্টে দু দফায় সাকিবের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞাপত্র ঘেটে দেখা যায়, ২০১৭ সালে ভারতের এক জুয়ারির কাছে ম্যাচ ফিক্সিং এর প্রস্তাব পান সাকিব আল হাসান। হোয়াটসঅ্যাপে সে প্রস্তাব পেলেও ফিক্সিং এ রাজী হন নি এ অলরাউন্ডার। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, জুয়ারির কাছে তার ফোন নাম্বার পৌছানোর কথা সাকিব আল হাসান জানলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা নেননি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে পুনরায় সে একই জুয়ারি সাকিবের সাথে যোগাযোগ করে একাদশ সম্পর্কে জানতে চাইলেও সাকিব তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোন জুয়ারি একজন খেলোয়ারকে ফিক্সিং এর অফার দিলে সেটি আইসিসিকে জানানো বাধ্যতামূলক। সাকিব আল হাসান জুয়ারির ফিক্সিং এর প্রস্তাব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে না জানানোয়, আইসিসি এটিকে তথ্য গোপন করার অভিযোগ হিসেবে আমলে নেয়। গত প্রায় এক বছর এটি নিয়ে আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত আইসিসি সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মিঃ পাপন সাংবাদিকদের জানান, তিনি সাকিবের এ ঘটনাটি তিন দিন আগে শুনেছেন। বিসিবির পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে পুনর্বিবেচনা পত্র পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এইদিকে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার পরপরই এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সাকিব আল হাসানকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিসিবি বোর্ড তবে সেই সাথে তিনি মনে করেন, তেমন কোন কাজ হয়তো হবে না।
সাকিবের পেছনে কলকাঠি নাড়ালো কে?
বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করছেন, এর পেছনে নাজমুল হাসান পাপনই ষড়যন্ত্রকারী কেননা এতদিন সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসি কিছু না বললেও, ক্রিকেটারদের আন্দোলনের পর কেন এ সিদ্ধান্ত। অনেক ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন, মিঃ পাপনের কারনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ধীরে ধীরে দূর্নীতিতে আচ্ছাদিত হয়ে যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ