ফেসবুক হ্যাকিং থেকে বাঁচার ৫ সূত্র : থাকুন নিরাপদ

ফেসবুক হ্যাকিং থেকে বাঁচার ৫ সূত্র : থাকুন নিরাপদ

www.dhakastaff.com

বর্তমানে যাদের একটি স্মার্টফোন আছে তাদের একটি ফেসবুক একাউন্টও আছে। অনেকের আবার দুই বা ততোধিক একাউন্টও আছে। এই ফেসবুক একাউন্টে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন গোপন বিষয় নিয়েও আলোচনা করি। এভাবে চলতে চলতে একটা সময়, ফেসবুকে আমাদের জীবনের অনেক তথ্যই জমা হয়ে যায়। ভয়টা শুরু হয় এরপরেই। যদি হঠাৎ করে, আপনার ফেসবুক একাউন্টের মালিক অন্যজন হয়ে বসে তাহলে আপনার সকল তথ্যই তো সেই মালিকের হাতে চলে যাবে। আপনার প্রকাশ্য, গোপনীয় সকল তথ্যই  সেই ব্যাক্তিটি দেখতে পাবে। 

একজনের ফেসবুক একাউন্টের মালিকানা অন্যজন অবৈধভাবে নিয়ে নিলে সেটিকে হ্যাক বলা হয়।

সাধারণত আমাদের একাউন্ট হ্যাকের শিকার হলে, আমরা তেমন গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনা কিন্তু এরকম অনেকেই আছেন যারা ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জমা করে রাখেন। তাদের একাউন্টটি হ্যাকিং এর স্বীকার হলে, হ্যাকাররা অনেক সময় তথ্য প্রকাশ কিংবা নানা ধরনের ব্ল্যাকমেইল করে বড় ধরণের অর্থ হাতিয়ে নেয়। সাধারণত যারা ফেসবুক হ্যাক করে তাদের উদ্দ্যেশ্য এটি ই থাকে কিন্তু অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না থাকায় হ্যাকাররা সবসময় সে সুবিধা করতে পারেন না।

আপনার ফেসবুকের একাউন্টটি হ্যাকিং থেকে বাচাতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে, ঢাকা স্টাফের প্রযুক্তি বিষয়ক কলামে প্রকাশ করা হলো।

১) পাসওয়ার্ডটি শক্ত করে মেরামত করুন

www.dhakastaff.com

ফেসবুকের অধিকাংশ ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজেদের ফোন নাম্বার কিংবা নাম বা জন্মদিন ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে প্রোফাইল ঘেটে দুই একবার চেষ্টা করলেই এই ধরনের পাসওয়ার্ড সম্পন্ন প্রোফাইলগুলো হ্যাক করা যায়। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীর হ্যাক হওয়া ফেসবুক একাউন্টগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশই এই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকারী। 

একাউন্টটি নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই আপনার পাসওয়ার্ডটি হবে অনেকটাই এলোমেলো প্রকৃতির যেটা মনে রাখতে আপনার ই কষ্ট হয়। একটি পাসওয়ার্ড দেখতে কেমন হওয়া উচিৎ তার নমুনা দেওয়া হলো- 1234@KaLim


২) থার্ড পার্টি এপ থেকে বিরত থাকুন 

www.dhakastaff.com

বাংলাদেশে বলতে গেলে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যাবহারকারীরা থার্ড পার্টি এপ কি জিনিস সেটাই বুঝে না। থার্ড পার্টি এপ হচ্ছে, ফেসবুকের বাইরে যেসকল এপ ফেসবুক দিয়ে ব্যবহার করেন। যেমন, অনেকেই তাদের প্রোফাইলে আপলোড দেন এইরকম কিছু পোস্ট যে, তিনি দেখতে কেমন, নায়ক কত পার্সেন্ট, কয় বাচ্চার মা হবে ইত্যাদি। এসকল হাস্যকর ব্যাপার তৃতীয় কোন এপে দেখে ঐ এপের লিংকগুলো আবার শেয়ার করেন। সাধারণত এধরণের এপগুলো ফেসবুক থেকে আপনার তথ্য হাতিয়ে নেয়। যেকোন সময়, আপনার তথ্যগুলো এবং ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে।


৩) স্প্যাম মেসেজ থেকে সাবধান 

www.dhakastaff.com

জেনে না জেনে অনেকেই স্প্যাম মেসেজিং করে থাকেন। স্প্যামিং মেসেজে মাঝে মাঝে হ্যাকাররা আনভিজিবল কোডিং দিয়ে থাকেন যার ফলে আপনার অজান্তেই ফেসবুক আইডির সকল তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। কথা হচ্ছে, স্প্যাম মেসেজ কি? স্প্যাম মেসেজ হলো গঁদ বাধা কয়েক লাইনের একটি বার্তা যা একজন ব্যবহারকারী অন্য আরেক ব্যবহারকারীকে মেসেজে পাঠান। সেই ব্যবহারকারী পুনরায় আরেক ব্যবহারকারীকে পাঠান, এভাবে চলতে থাকে। যেমন, এই মেসেজটি ১০ জন ব্যবহারকারীকে পাঠান তাহলে ৫ দিনের মধ্যে ভালো খবর পাবেন ইত্যাদি।


৪) আজে বাজে লিংক শেয়ার থেকে সাবধান

www.dhakastaff.com

অনেকেই আছেন যারা সংবাদ কিংবা মনের মত নিউজ বা তথ্য পেলেই শেয়ার দিয়ে বসেন। লিংকটি কোন বিশ্বস্ত সোর্স কি না তা তারা খতিয়ে দেখেন না। অনেকসময়, হ্যাকাররা এসব মুখরোচক নিউজ পাবলিশ করে, যখনই একজন ব্যবহারকারী সেই সাইট ভিজিট করতে যায় তখনই ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়। সুতরাং কোন মুখরোচক খবর বা তথ্য পেলে আগে ওয়েবসাইটের লিংকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন, এটি কোন বিশ্বস্ত সাইট কি না।


৫) শুধুই ফেসবুক এপ ব্যবহার করুন


অনেকসময় ব্যবহারকারীরা ভুল করে ফেসবুকের মত হুবুহু দেখতে কিন্তু ফেসবুক নয় এমন এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন। এসব এপ্লিকেশনগুলো বা সাইটগুলোকে ফিশিং সাইট বলে। এসব সাইটগুলোর উদ্দ্যেশ্য, ব্যবহারকারীদের বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। যারা ইন্টারনেট সম্পর্কে তেমন জ্ঞান রাখেনা তাদের অধিকাংশই এসব সাইটে গিয়ে নিজের আইডি খোয়া দেন কিন্তু যারা কিছুটা এক্সপার্ট তাদের মধ্যেও অনেকেই ফিশিং সাইটে মাঝে মধ্যেই পা দেন।

আপনার ফেসবুক একাউন্ট সুরক্ষায় সচেতন হোন।