বাংলাদেশি তাড়ানোর হুশিয়ারি : নির্বাচনে জনগনের সেন্টিমেন্ট আদায় অমিত শাহের

বাংলাদেশি তাড়ানোর হুশিয়ারি : নির্বাচনে জনগনের সেন্টিমেন্ট আদায় অমিত শাহের

Dhaka Staff

বাংলাদেশিদের খোজে খোজে ভারত ছাড়া করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে এক জনসভায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে, আপনি মাদ্রাসায় চার হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন অথচ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সে পরিমাণ টাকা দেন নি। তিনি আরও বলেন, মসজিদের ইমামদের ভাতা প্রদান করলেও মন্দিরের পুরোহিতদের জন্য কোন ভাতার ব্যবস্থা করছেনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 

অমিত শাহের এ বক্তব্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য ভোটের আগে জনগনের সেন্টিমেন্ট আদায়ের শামিল। অমিত শাহের দেওয়া বক্তব্যটি কোনভাবেই সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করার উদ্দ্যেশ্যে নয় বলে অভিমত তাদের। গোপাল ভাট্টাচার্য নামক একজন গবেষক জানান, ভারতে সবসময় সংখ্যালঘুরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন যদিও তিনি স্বীকার করেন কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদের কারণে এটিতে প্রশ্ন দেখা দেয়। তিনি মনে করেন, অমিত শাহের বক্তব্যটি পশ্চিমবঙ্গে কোন প্রভাব ফেলবে না। বিশেষ সুবিধার কথা জানতে চাইলে তিনি ঢাকা স্টাফকে বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ বাজেট নির্ধারণ করা হয়, মসজিদের খতীব ইমামদের জন্য ভাতা ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা যা ভারতীয় সংখ্যাগুরুরাও এসব সুবিধা পান না।

 অমিত শাহ তার পুরো বক্তব্যের অনেকাংশে বাংলাদেশিদের তাড়ানোর কথা বলেছেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক বিষয়ক গবেষক ফারুক ওসমান বলেন, অমিত শাহের বক্তব্যটি ভোটের আগে মাঠ গরম করার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। এটিকে ভারতের অফিসিয়াল বক্তব্য হিসেবে ধরা যাবেনা। মিঃ ফারুক আরও বলেন, ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি পাওয়া যাবেনা। যারা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তারা হয়তো শিক্ষা বা চিকিৎসা কিংবা ভ্রমণ ভিসায় সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির উর্ধ্বমুখী গতিধারা এবং সামাজিক সুচকে ভারতের থেকে এগিয়ে থাকায় একজন বাংলাদেশি ভারতে অবস্থানের চেয়ে বাংলাদেশে অবস্থানকেই নিরাপদ মনে করছে ফলে ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেই বরং ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী পাওয়া যাবে। অমিত শাহের বক্তব্যটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে মি. ফারুক বলেন, এটি ভারতের অফিসিয়াল বক্তব্য না হওয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 
অমিত শাহের দেওয়া বক্তব্যটি যদিও নতুন কিছু নয়, এরকম বাংলাদেশি তাড়ানোর কথা বিজেপির আরও অনেক নেতা ই বলেন বলে জানান, বাংলাদেশি এ গবেষক।