ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশের করণীয়

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের দামামায় বাংলাদেশের করণীয়

১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতে জঙ্গী হামলার ফলস্রুতিতে বর্তমানে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আবহ বিরাজ করছে। সর্বশেষ তথ্যমতে দেশ দুটি একে অপরের যুদ্ধবিমান ভুপাতিত করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের এরকম দামামা যদিও নতুন কিছু না তারপরও এবারের সংকট গভীর পর্যায়ে যাওয়ার আশংকা করছে অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান কি হওয়া উচিত তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চললেও, অনেকেই মনে করেন এখানে বাংলাদেশের তেমন মাথা ব্যাথার কিছু নেই।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার এমন উত্তেজনা বেশিরভাগই ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক কারনে যা বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিরাজমান দেখা যায়।
তাদের উত্তেজনা যতই চরম পর্যায়ে যাক, শেষ পর্যন্ত তারা যুদ্ধে জড়াবে না বলেই মনে করেন অনেকে।

তারপরও ভারত পাকিস্তান যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায় তাহলে ভারত পাকিস্তানের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ ই মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে। সে হিসেবে ভারত পাকিস্তানের এরকম উত্তেজনায় বাংলাদেশের বসে থাকাটাই বরং একরকম বোকামি।

তবে কি করতে পারে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সুসম্পর্ক অনেকদিনের।
যুদ্ধাপরাধী বিচারের কারনে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের কিছু অবনতি হলেও ইমরান সরকারের সাথে শেখ হাসিনার বৈরিতা তেমন পাওয়া যায় নি। সেদিক থেকে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্কও মোটামুটি ভালোই বলা যেতে পারে।

এছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব অর্জন করায় বিশ্বের প্রায় সকল দেশের প্রধানরা শেখ হাসিনার উপর আস্থাশীল। 

এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ঢাকাতে ভারত এবং পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীদের পাশাপাশি তাদের সেনাবাহিনীদের নিয়ে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেন এবং সেই সাথে সে বৈঠকে যদি বিশ্বনেতারা কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা উপস্থিত থেকে বিষয়টা সুরাহা করার চেষ্টা করেন তবে দুদেশের মধ্যে চলমান এ বৈরিতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হলেও হতে পারে।

তবে এ বৈঠিকটি আয়োজন করা এতটা সহজ হবে বলে মনে হয় না কারণ এখানে নিরাপত্তা ইস্যুটা বিবেচনায় রাখতে হবে। বিষয়টি যেহেতু খুবই সেন্সিটিভ সেহেতু যেকোন সময় বাংলাদেশে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে যা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে কঠিন হলেও বাংলাদেশ এরকম বৈঠকের আয়োজন করার সক্ষমতা রাখে।

 বাংলাদেশ হয়তো এ ঝুকি নিতে চাইবে না কিংবা ঢাকা হয়তো ভারত পাকিস্তানের বর্তমান সংকট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যদি এরকমটা প্রয়োজন হয় তবে নিজ স্বার্থেই হয়তো বাংলাদেশ এটি করবে বলে ঢাকা স্টাফ মনে করে।

ভারত পাকিস্তানের বর্তমান সংকট দুদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, আঞ্চলিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঢাকাকে ব্যবস্থা নিতে হবে নতুবা ঢাকাসহ পুরো দক্ষিন এশিয়ার এ কারনে মাশুল দিতে হবে যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়।