বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সরে এসেছে সরকার। যেসকল বিদেশি অতিথি আসার কথা ছিল তারাও আসছেন না আগামী ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে। এই কয়দিন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে থাকা মোদীর সফরও বাতিল করা হয়েছে। মোদীর সফর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে টানটান উত্তেজনা চলছিল ইসলামি সমমনা দলগুলোর মধ্যে। করোনাভাইরাসের কারণে সরকার অনুষ্ঠান বাতিল করলেও কিছু অভ্যন্তরীণ কারণও কাজ করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
১) মোদীর সফর নিয়ে ইসলামি দলগুলো তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল। যার কারনে মোদীর সফরের সময় সেনাবাহিনী নামানোর চিন্তাও করতে হয়েছে সরকারকে। এমতাবস্থায়, মোদীর আমন্ত্রণপত্র উঠিয়ে নেওয়ারও কোন সুযোগ ছিল না ফলে একটি কারণ সরকারের জন্য জুরুরি ছিল৷ মনে করা হয়, মোদীর সফর বাতিল করার পেছনে এটি ই অন্যতম কারণ।
২) বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এদিকে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, মোদী নিজে থেকেও বাংলাদেশে আসতে অনীহা জানাতে পারেন। যা সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম কারণ হতে পারে।
৩) বাংলাদেশের মানুষদের মোদীবিরোধী আন্দোলনের কথা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অজানা থাকার কথা নয়। সব মিলিয়ে মোদীর কানে এই বিরোধিতা পৌছাতে পারে যা স্বাভাবিক এবং তাদের কাছে বেশি আশংকাজনক হওয়ায় হতে পারে মোদী নিজ থেকেই পিছুটান নিয়েছেন যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনা সরকারকে বাধ্য হয়েই বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী বন্ধ করতে হয়েছে।
৪) বাংলাদেশ সরকার প্রধান এবং ভারতের সরকার প্রধান প্রায় একই সময়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। যা থেকে সন্দেহ জাগে যে, এটি একটি মিচুয়াল সিদ্ধান্ত। কোন সরকার প্রধান একা এই সিদ্ধান্তটি নেন নি। সুতরাং মোদীর সফর বাতিল করার পেছনে করোনা ভাইরাসকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী হবে কি না?
১৭ই মার্চের সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হলেও পরবর্তীতে যেকোন সময় বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মোদীর সফর আপাতত বাতিল হলেও একটি নির্দিষ্ট সময়ে নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসবেন৷ যেসকল বিদেশি অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন তারাও পুনর্বিন্যাসকৃত সময়ে বাংলাদেশে আসবেন। তবে কবে আসবেন তা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। আশা করা যায়, করোনা ভাইরাসের ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত জানার পরই শিডিউল পুনরায় জানা যাবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আসলো কিভাবে?
বাংলাদেশে যে তিনজনের শরীরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে এদের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে আসা এবং বাকি একজন ইরান থেকে আসা। বর্তমানে তাদের কোরেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। ভাইরাস যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য দফায় দফায় মিটিং করেছে সরকার। বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ